Health Tips

পানি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

আপনারা কি জানেন? পানি খাওয়ার  নিয়ম রয়েছে ,হ্যাঁ বন্ধুরা পানি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে পানি খেলে রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পাবেন তাছাড়া নানা ধরনের রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

আমরা সবাই জানি পানির উপর নাম জীবন কিন্তু সেটি হতে হবে বিশুদ্ধ পানি।বিজ্ঞানীরা বলেছেন পৃৃৃথিবীতে মোট পানি শতকরা ৯৭.৫% পানি হলো লবাক্ত আর ২.৫℅ পানি হলো ব্যবহার যোগ্য তাই বেঁচে থাকতে হলে আমাদের বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে। আমাদের শরীরের রক্ত ও ফুসফুসের ৮০% শতাংশ জুড়ে শুধু পানি তাই আমারদের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য পানির  বিকল্প নেই।

পানি খাওয়ার নিয়ম

সুস্থ জীবন পাওয়ার জন্য আমাদের সবসময় নিজের শরীরে প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।পানি যেইরকম আমাদের বেচে থাকতে প্রয়োজন সেইরকম এটি আবার মৃত্যু কারন হয়ে দাড়ায় যদি বিশুদ্ধ পানি পান না করি।তাই আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আস্তে আস্তে পানি পান করুন

আমাদের মাঝে অনেকে আছেন একসাথে দুই তিন গ্লাস পানি পান করে ফেলেন যা  স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। একবারে বেশি পরিমাণ পানি পান করা যাবে না। বেশি পরিমাণ পানি পান করলে আমাদের কিডনির উপর বেশি চাপ প্রয়োগ হয় এতে কিডনির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে পানি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে চায়ের মত আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে পানি পান করা। আপনি যদি খুব দ্রুত পানি পান করেন তাহলে সে পানি আপনার শরীরে খুব দ্রুতই বের হয়ে যাবে ঘাম বা প্রস্রাবের মাধ্যমে। 

সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করুন

বর্তমান সময়ে আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্মার্ট ফোন নিয়ে পড়ে থাকি যা কখনোই উচিত নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে পানি পান করা। আমরা সারারাত ঘুমানোর জন্য আমাদের শরীর কোন পানি গ্রহণ করে না এর কারনে শরীর ডিহাইডেট হয়ে যায়। পানি পান করার মাধ্যমে শরীর আবার সতেজ হয় ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি পান করলে আমাদের শরীরের যে টক্সিস পদার্থগুলো রয়েছে সেগুলো খুব সহজেই বেরিয়ে যায়।

রাতে বেশি পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

আমারা দিনে বেলা যে পরিমান পানি খেয়ে থাকি থাকি তার থেকে রাতে কম পরিমান পানি খাওয়া উচিত। কারন   দিনের বেলা অনেক পরিশ্রম করি তাই আমাদের শরীর থেকে ঘামের সাথে অনেক পানি বেরিয়ে যায় তাই আমরা যদি পর্যাপ্ত পানি দিনের বেলা না খায় তাহলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে। আর দিনের বেলা আমাদের শরীর বেশি কার্যকর অবস্থা থাকে তাই বেশি পানি গ্রহন করলে এটি শরীরের জন্য উপকারী।

কিন্তু রাতে বেলা আমাদের শরীর ততটা একটিভ থাকে না তাই বেশি পানি খাওয়া হলে এটি শরীরে ফিল্টার করতে অসুবিধা হয় যার ফলে পানি সরাসরি কিডনিতে জমা হয় আর কিডনিতে নানারকম সমস্যা দেখা দেয় আর রাতে বেশি পানি খাওয়া হলে বার বার টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে যেটি ঘুমের অনেক ব্যাঘাত ঘটায় তাই রাতে বেশি পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 ফলমূল খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয়

ফলমূল খাবার খাওয়ার পর পানি খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারন এর ফলে আমাদের শরীরের  ক্ষতি হয়ে থাকে ফলমূল খাওয়ার পর যদি আমরা পানি খায় তাইলে পাকস্থলীতে থাকা খাবার গুলো শক্ত হয়ে যায় আর এর কারনে আমাদের শরীরে বেশি শক্তি প্রয়োজন হয় খাবার হজম করতে আবার হজমের ও সমস্যা হয়ে থাকে।

চা,কফি পান করার পর  পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

গরম পানীয় খাবার খাওয়ার পর একদমই পানি খাওয়া করা উচিত না তাহলে আমাদের দাত ও মারি সমস্যা হয়ে থাকে এবং দাত পানসে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে

 বসে পানি পান করুন

সবসময় বসে পানি খাওয়া উচিত কখনো দাড়িয়ে পানি খাওয়া ঠিক না। আবার ধর্মীয়ভাবে দাড়িয়ে পানি খাওয়া নিষেধ আছে। আমরা যখন পানি পান করি তখন পানি আমাদের দেহ ছেঁকে শরীরের  বিভিন্ন স্থানে যায়। আর আমারা যদি পানি দাড়িয়ে পান করি তাহলে সেই ভাবে পানি ছেঁকে ঠিক ঠাক ভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে যায় না ছাকুনির ব্যাঘাত ঘটায় আর পানির মাঝে যেই ক্ষতি পদার্থ থাকে সেগুলো সরাসরি আমাদের দেহের মাঝে চলে যায়। এতে করে আমাদের শরীর  ক্ষতি হয়ে থাকে তাই আজ থেকে সবসময় উচিত বসে পানি খাওয়া

 ঠান্ডা পানি পান করা বন্ধ করুন

ঠান্ডা পানি আমাদের সামরিক সময়ের জন্য স্বস্তি দিলেও পরবর্তী সময়ের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গরমকালে আমরা সবাই ঠান্ডা পানি খেতে পছন্দ করি কিন্তু আপনি কি জানেন এই ঠান্ডা পানি আমাদের শরীরের জন্য কত ক্ষতিকর, জানলে হয়তো আর কেউ ঠান্ডা পানি পান করতেন না।

আমাদের শরীরে হজম প্রক্রিয়ার জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।পাকস্থলী খাবার গুলো হজম করার জন্য প্রথমে আমাদের শরীরে পানিগুলো গরম হয় তারপর হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু আপনি যখন অনেক ঠান্ডা পানি পান করছেন সে পানিতে পাকস্থলীতে গরম করার জন্য অনেক শক্তি খরচ হচ্ছে। যার ফলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে এবং গ্যাস সহ নানা ধরনের পেট জনিত সমস্যা দেখা দেয়। যেমনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যা, পেট ব্যথা, পেট ফুলে থাকা ।

Follow topics bangla facebook page

আরো পড়ুনঃ

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার উপায়

মন ভালো করার উপায়

Topicsbangla

জানা ও অজানা বিষয় গুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরা আমাদের মূল লক্ষ।আমাদের সাথেই থাকুন আশা করি উপকৃত হবেন।☺☺

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button