
ঘরোয়া ভাবে এলার্জি দূর করার উপায়
হ্যালো বন্ধুরা আজকে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রায় মানুষের মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা যায়। প্রতিটা মানুষের মধ্যে কম বেশি এলার্জি রয়েছে। আমাদের জীবনযাত্রা পরিচালনার উপর এলার্জির মাত্রা নির্ভর করে। এলার্জি হলে আমাদের জীবনযাত্রার মান কমিয়ে ফেলে এবং কাজ করতে নানা ধরনের অসুবিধা তৈরি হয়। এলার্জি হওয়ার কারণ হচ্ছে মানুষের দেহের মধ্যে ইমিউন সিস্টেম রয়েছে এটি ক্ষতিকরক পদার্থ যেমন পরাগকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং ক্ষতিকর পদার্থের উপর অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা অ্যালার্জেন নামে পরিচিত। এন্টিবডি তখন কোষগুলিতে ভ্রমণ করে যেগুলো রাসায়নিক হিস্টামিন নির্গত করে যখন ট্রিগার হয় আর যা এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর ফলেই একজন ব্যক্তির এলার্জির উপসর্গ দেখা দেয়।
যাইহোক আপনার মাঝে যদি কোন এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং এর প্রতিকার পেতে চান তাহলে ঘরোয়াভাবে কয়েকটি নিয়ম-কানুন রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনি এর থেকে প্রতিকার পেতে পারেন। তাই এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
একটি এয়ার ফিল্টার প্রতিস্থাপন করুন
আপনার ঘরকে যদি অতিরিক্ত ধুলাবালি থেকে রক্ষা করতে চান তাহলে এয়ার ফিল্টার প্রতিস্থাপন করুন। বাসায় কোন পোশাক প্রাণী পালন করে থাকলে অবশ্যই এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। পোষা প্রাণীর খুশকির মতন বায়ুবাহিত জ্বালাতে আটকে রাখে যা আপনার ঘরের এলার্জেন বাড়িয়ে তোলে এটি আপনার এলার্জিজনিত সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। ঘরের এলার্জেন কমানোর জন্য এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করুন।
ঘর পরিষ্কার করুন
নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করলে এলার্জি থেকে পরিত্রান পেতে সাহায্য করে এবং আপনার উপসর্গ উপশম করতে সাহায্য করে। আপনার বাসার এয়ার ফিল্টার সব সময় পরিষ্কার করবেন এবং পরিবর্তন করুন। এছাড়াও বইয়ের তাক ভেন্ট এবং অন্যান্য স্থান যেখানে পড়াগ জীবাণু সংগ্রহ করতে পারে তা পরিষ্কার করুন কারণ পরাগ জীবাণুর দ্বারাই আমাদের শরীরে এলার্জির সমস্যা তৈরি হয়। চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে কয়েকবার ঘর পরিষ্কার করার তাহলে অ্যালার্জি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন।
বাইরের ধূলিকণা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন
আপনি যখনই বাইরে বের হবেন বা বাইরে হাটবেন তখনই আপনি সেই জায়গার ছোট ছোট ধূলিকণা টুকরো আপনার সাথে নিয়ে আসবেন। বাইরে থাকার পরে আপনার কাপড়ে, জুতো, চুলে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্বারা আবৃত থাকে। বাইরে থেকে বাসাতে আসার পরে কাপড় গুলো ধুয়ে নিন এবং নিজেও গোসল করে নেন। এতে নিজেকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
একটি মাস্ক ব্যবহার করুন
বাংলাদেশের পরিবেশের যে অবস্থা বাইরে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি থাকে আর এই ধুলাবালি গুলো আপনার অ্যালার্জি সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে। বাইরে যখন চলাফেরা করবেন তখন চেষ্টা করুন একটি মাস্ক ব্যবহার করার। মাস্ক ব্যবহার করলে এলার্জেন গুলিকে আপনার শাসনালীতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারে
গরম পানীয় পান করুন
আপনার মাঝে যদি এলার্জির জনিত সমস্যা হয় তাহলে আপনার মধ্যে ঠান্ডা জনিত সমস্যা লেগেই থাকবে। যেমনঃ নাক বন্ধ হয়ে থাকা,কফ, বুকে কফ জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা এইসব ঠান্ডা থেকে পরিধান পেতে প্রতিদিন গরম জাতীয় পানীয় পান করুন। যেমনঃ চা,কফি ইত্যাদি
বাষ্প যুক্ত পান
এলার্জির ফলে যদি আপনার ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বাষ্প যুক্ত পান করলে খুব ভালো উপকার পাবেন। এর জন্য গরম পানি একটি বাটিতে রাখুন তারপর আপনার মাথার উপরে তোয়ালের দিন বাসবো আটকানোর জন্য এরপর সেই অবস্থাতে বাটির সামনে মুখ রেখে শ্বাস নিন।
আপনার নাক পরিষ্কার করুন
প্রতিদিন আপনার নাক পরিষ্কার করতে হবে কারণ পরাগ জীবাণু আপনাকে লেগে থাকতে পারে এর ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা বাড়বে। তাই সবসময় চেষ্টা করুন আপনার নাক পরিষ্কার রাখার জন্য।
সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন
যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য সিগারেটের ধোঁয়া খুবই মারাত্মক ক্ষতিকর।
তাই আপনার যদি সিগারেট খাওয়ার বদ অভ্যাস থাকে সেটা আজ থেকে ছেড়ে দিন এবং যেখানে সিগারেট খাচ্ছে সেই স্থান পরিত্যাগ করুন। শুধুমাত্র সিগারেটের ধোঁয়া নয় অন্যান্য ধোয়াও আপনার জন্য ক্ষতিকর তাই যেকোন ধোয়া থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখুন।
মধু
এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে মধু রক্ষা করে এটি কোন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি তারপরও আপনার এলার্জির জনিত সমস্যা থেকে ঠান্ডার সমস্যা তৈরি হয় আর সেই ঠান্ডা সমস্যা ভালো করার জন্য মধু খুবই কার্যকরী উপাদান। এটি আপনার ভিতর থেকে ঠান্ডা দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক চামচ মধু পান করুন
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি করে খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি খাবারগুলো আপনার ঠান্ডা জনিত সমস্যা গুলো দূর করবে তার পাশাপাশি এলার্জি জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য চেষ্টা করুন প্রতিদিন বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি খাবার খাওয়ার। যেমনঃ কমলা, লেবু, আঙ্গুল, স্ট্রবেরি, তরমুজ, টমেটো, আনারস, পেয়ারা, আম, পেঁপে, সবুজ শাকসবজি, পালং শাক, বাধাকপি, মিষ্টি এবং সাদা আলু ইত্যাদি।
কখন ডাক্তারকে দেখানো উচিত
এলার্জির জনিত সমস্যাকে কখনো অবহেলা করা উচিত নয় এটি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় আপনার মাঝে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারকে দেখানো উচিত। নিচের লক্ষণ গুলো যদি অতিরিক্ত মাত্রায় আপনার মাঝে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
- শ্বাস নিতে অসুবিধা যেমন দ্রুত বা অগভীর শ্বাস
- দ্রুত হৃদস্পন্দন
- উদ্বেগ বা বিভ্রান্তি
- নিম্ন রক্তচাপ
- হালকা মাথাব্যথা বা অজ্ঞান বোধ করা
- চেতনা হারানো
আপনাদের কাছে যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
ডিলিট করা ফেসবুক পোস্ট কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় আসুন জেনে নেই
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।