সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম জেনে নিন
সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে আজকে জানানোর চেষ্টা করব। যারা মোবাইলে ভিডিও করতে এবং এডিট করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকের পোস্ট অনেক উপকারী হবে। কারণ আজকে আমি যে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম বলবো সেগুলো দিয়ে সুন্দর ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।
একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে কোয়ালিটি ফুল ভিডিও এডিট করা যাচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানের স্মার্টফোনগুলো উন্নত হওয়ার কারণে এগুলো ক্যামেরা কোয়ালিটি অনেক ভাল হয়েছে। যেগুলো দিয়ে ভালো কোয়ালিটির ভিডিও ধারণ করা যায়। তার সাথে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বের হয়েছে যা দিয়ে উন্নত মানের ভিডিও এডিট করা সম্ভব।
কমবেশি সবাই মোবাইলে ভিডিও করতে পছন্দ করে তার সাথে বর্তমানের কিছু সফটওয়্যার বের হয়েছে যেমন টিকটক, লাইকি যেগুলোতে প্রতিনিয়ত মানুষ নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করছে। তাই এই গুলো ভিডিওর মান উন্নত করার জন্য অবশ্যই এডিটিং করার প্রয়োজন হয়। আর সেই এডিটিং কোন সফটওয়্যার দিয়ে করলে ভাল ফলাফল পাবেন সেগুলো নিয়েই আলোচনা করব।
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার অনেক রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বেস্ট সফটওয়্যার গুলো নিয়ে আজকে কথা বলবো যা আপনার এডিটিংয়ের অভিজ্ঞতা অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম
১। KineMaster
মোবাইলে বেস্ট ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে Kinemaster অন্যতম।Kinemaster এমন একটি সফটওয়্যার যা দিয়ে প্রো লেভেলের ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব।
এই সফটওয়ারের মাধ্যমে কমবেশি সব ধরনের কাজ করতে পারবেন। কিন্তু এসব কাজগুলো শিখতে হবে কারণ এর কাজগুলো হালকা কঠিন। ইউটিউব এ অনেক টিউটোরিয়াল রয়েছে যেগুলো দেখে আস্তে আস্তে শিখতে পারবেন।
কিন্তু একটা সমস্যা হচ্ছে এই সফটওয়্যার ফ্রী ভার্শন দিয়ে ভিডিও এডিট করার সময়, এই সফটওয়্যার এর লোগো ভিডিওর সাথে যুক্ত থাকে যা ভিডিওর সাথে একদমই বেমানান।
আপনি যদি চান টাকার বিনিময়ে প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন তখন ভিডিওর মধ্যে কোন ধরনের লোগো যুক্ত থাকবে না এবং আরো বাড়তি অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন।
২। capcut
ব্যক্তিগতভাবে আমি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করি। কারণ এই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং অনেক কঠিন কাজ গুলো খুব সহজভাবে করা যায়।
ভিডিও স্লো মোশন, কালারিং, ক্লপ আরো অন্যান্য কাজগুলো আপনি খুব সহজেই এই ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
যারা বিগেনার আছেন তাদের জন্য এই এডিটিং সফটওয়্যারটি খুব সহায়ক হবে।
একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের ফ্রি ভার্সন দিয়ে এডিট করার সময় ভিডিওতে কোন লোগো যুক্ত থাকে না। ভিডিওর একদম শেষে এর লোগো দেখায় যা আপনি মোবাইলের ডিফল্ট এডিট সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করে লোগোর অংশটি আলাদা করতে পারবেন।
৩। Inshot
এটি খুব জনপ্রিয় একটি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। কমবেশী সবাই এর সম্পর্কে জানেন। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুব সুন্দর ভিডিও এডিটিং করা যায়।
যারা অনেকগুলো পিকচারে মাধ্যমে ভিডিও বা শর্ট ভিডিও করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য খুবই উপযোগী।
এই সফটওয়্যার টি ভিডিও এডিটিং সিস্টেম গুলো খুব সহজভাবে করা হয়েছে যার মাধ্যমে যে কেউ সহজে বুঝতে পারে।
৪। Vn video edit
একটি ভিডিওর কালার কোয়ালিটি ভালো থাকলে সে ভিডিও সৌন্দর্য এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
যারা ভিডিওর কালার কোয়ালিটি অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চান তারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুব সুন্দর কিভাবে ভিডিওর মধ্যে কালার গ্রেটিং করা যায়।
শুধু কালার ছাড়া আরো অন্যান্য ভিডিও এডিটিং কাজগুলো এই সফটওয়্যার দিয়ে করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যার গুলো নিয়ে অনেক ইউটিউবে টিউটোরিয়াল রয়েছে যা দেখলে খুব সহজে সফটওয়ারের ব্যবহারগলো বুঝতে পারবেন।
শেষ কথা
আজকে যে সফটওয়্যারগুলো নিয়ে কথা বলছে এগুলো মাধ্যমে ভালো মানের ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করি। আপনারা চাইলে এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন অবশ্যই ভাল ফলাফল পাবেন।
বি দ্রঃ আমি যে সফটওয়্যার গুলো দিয়েছি সবগুলো ফ্রী ভার্শন। এ ভার্সন গুলো ব্যবহার করার ফলে ভিডিওতে লোগো যুক্ত থাকবে যা কেউ চায়না। তার জন্য টাকা খরচ করে প্রেমিয়াম ভার্শন নিতে হয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হয়না। তাদের জন্য অনেক ক্র্যাক ভার্সন রয়েছে অনলাইনে যেগুলো গুগলে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। আপনারা যদি খুঁজে না পান তাহলে আমাদের টপিকস বাংলা পেজে মেসেজ করবেন আমরা অবশ্য আপনাকে ক্রেক ভার্সনগলো ফ্রিতে দিয়ে দিব ধন্যবাদ।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম