Blogging & Wordpress

ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করব?(Off Page-SEO)

ব্যাকলিংক কি, কিভাবে ব্যাকলিংক করব বা ব্যাকলিংক করে লাভ কি এই সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্য। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে বা ব্লগিং করে থাকেন তাহলে এসইও সম্পর্কে ধারণা রাখা আবশ্যক, এর কারণ হচ্ছে এসইও ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংকিং এ আনতে পারবেন না। যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করার পরও গুগল থেকে ভালো ভিজিটর পাচ্ছেন না, তাদের উচিত এসইও সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা এবং সেই মোতাবেক কাজ করা  তাহলে আপনিও গুগল থেকে ভিজিটর পাওয়া শুরু করবেন।

যারা ব্লগিং নতুন তাদের জন্য আজকের পোস্ট খুব সহায়ক হবে, আমি এসইও সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব যেগুলো অনুসরণ করলে আপনিও আস্তে আস্তে ভালো ফলাফল পাওয়া শুরু করবেন।

এসইও(SEO) কি, অনেকে এসইও কি? সেই সম্পর্কে জানেন না এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, পোস্ট ও সাইট অপটিমাইজেশন করে রেংক করানোর জন্য যে পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করা হয় তাকে এসইও বলে।

এসইও (SEO)  দুই প্রকার

  • ON PAGE SEO 
  • OFF PAGE SEO 

একটি দোকানের মালপত্র সাজানো বা ডেকোরেশন এর সাথে অন পেজ এসইও তুলনা করা যায় আর সেই দোকানের কার্ড বিতরণ বা বিজ্ঞাপন দেওয়াকে অফপেজ  এসইও সাথে তুলনা করা যায়।

দোকানের মালপত্র সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো থাকলে ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে তার সঙ্গে দোকানের বিজ্ঞাপন দিলেও অনেক মানুষ দোকানের সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বিক্রয় বাড়বে।

অন পেজ এসইও সাধারণত ওয়েবসাইট এর মধ্যে করতে হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে যাবতীয় কার্যকর্মকে অন পেজ এসইও বলে।

আর ওয়েবসাইটের বাইরে যত ধরনের কার্যক্রম করা হয় তাকে অফ পেজ এসইও বলা হয়।

ঠিক তেমনি একটি সাইট রাঙ্কিং এ আনার জন্য অফ পেজ এসইও এবং অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব অপরিসীম।

আজকে আমরা ব্যাকলিংক সম্পর্কে আলোচনা করব আর ব্যাকলিংক হচ্ছে অফ পেজ এসইও এর একটি অংশ।

আমি ইতিমধ্যে আপনাদের জন্য অন পেজ এসইও এর সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কিভাবে কোয়ালিটি ফুল এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয় সেটি জানার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন

১০০% র‍্যাঙ্কিং হবে। আর্টিকেল লেখার নিয়ম(অন পেজ -SEO)

আপনাদেরকে বোঝানোর স্বার্থে অনেক কথাই বলে ফেললাম চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করি।

ব্যাকলিংক কি ও ব্যাকলিংক কত প্রকার

এতক্ষণে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন চলে এসেছে ব্যাকলিংক আসলে কি বা এটি কিভাবে করতে হয়, আমার পোস্ট পড়তে থাকুন ধীরে ধীরে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

আমি আগেই বলেছি এখনও বলছি  অফ পেজ এসইও এর একটি অংশ হচ্ছে ব্যাকলিংক।

আর ব্যাকলিংক হচ্ছে অন্য কারো সাইটের আর্টিকেলে আপনার সাইটের লিংক বিল্ড করা বা যুক্ত করার প্রক্রিয়াকে ব্যাকলিংক বলা হয়।

ব্যাকলিংক সাধারণত দুই প্রকার

  • ডু ফলো ব্যাকলিংক( Do follow backlink) 
  • নো ফলো ব্যাকলিংক(No follow backlink)

ডু ফলো ব্যাকলিংকঃ  ডু ফলো ব্যাকলিংক হচ্ছে অন্য কোন ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটকে সরাসরি সম্মতি দেওয়াকে বোঝায়। এর মানে হচ্ছে অন্য কোন সাইটের আর্টিকেল বা অন্য জায়গায় আপনার ওয়েবসাইটের কথা সরাসরি উল্লেখ থাকে এবং আপনার সাইটে ভিজিট করার আমন্ত্রণ দিয়ে থাকে যার ফলে ডু ফলো ব্যাকলিঙ্ক এর মাধ্যমে আপনার সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করবে। সাইট রাংকিং এর জন্য ডু ফলো ব্যাকলিংক গুরুত্ব অনেক বেশি।

নো ফলো ব্যাকলিংকঃ  নো ফলো ব্যাক লিঙ্ক হচ্ছে, অন্য ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটকে সরাসরি ভাবে সম্মতি দেয় না কিন্তু আপনার সাইটের লিংক ঠিকই বিল্ড বা যুক্ত থাকে। সাধারণত অন্য সাইটের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার মাধ্যমে আপনার সাইটের লিংক যুক্ত করেন সেগুলোকে নো ফলো ব্যাকলিংক বলা হয়। নো ফলো ব্যাক লিঙ্ক এর মাধ্যমে সাধারণত আপনি কোন ভিজিটর পাবেন না। আর নো ফলো ব্যাকলিংক তেমন বেশি কার্যকরী নয়। অতিরিক্ত নো ফলো ব্যাকলিংক বিল্ড করলে সেগুলো স্পামে পরিণত হবে।

ব্যাকলিংক করে লাভ কি?

এতক্ষণে ব্যাকলিংক সম্পর্কে হালকা ধারণা বা জানতে পেরেছেন। এখন আপনার কাছে মনে হতেই পারে ব্যাকলিঙ্ক করে লাভ কি। তাহলে চলুন বিষয়টা সহজ ভাবে বুঝার চেষ্টা করি।

যখন আপনার সাইটের লিংক অন্য সাইটগুলোতে যুক্ত থাকবে এবং সেই সাইট গুলো আপনার সাইটকে সামর্থক বা সাপোর্ট করবে। তখন গুগলের কাছে আপনার সাইটটি অধিক বিশ্বস্ত অর্জন করবে। কারণ একটি ভালো মানের সাইটকেই সবাই সাপোর্ট করে, আপনার সাইটে অতিরিক্ত ব্যাকলিংক থাকলে গুগল আপনার সাইটকে অনেক গুরুত্বসহকারে দেখবে।

যখন আপনার সাইটটি গুগলের কাছে অধিক মূল্যবান বা বিশ্বস্ত হয়ে উঠবে তখন আপনার সাইটের পোস্টগুলো আস্তে আস্তে প্রথম পেজে আসা শুরু করবে মানে রেংকিং হবে। তাই ওয়েবসাইট র্যাকিং করানোর জন্য ব্যাকলিংক করা জরুরী।

আরো পড়ুনঃ

ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করুন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন

কিভাবে ব্যাকলিংক করব?

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কিভাবে ব্যাকলিঙ্ক করব বা ব্যাকলিঙ্ক করার উপায়। যারা নতুন এসইও সম্পর্ক তেমন কোন ধারনা নাই তাদেরকে আমি কয়েকটি সহজ মাধ্যম জানানোর চেষ্টা করব যেগুলো মাধ্যমে যে কেউ তার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হয়

১। গেস্ট পোস্ট

আমার কাছে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার মাধ্যম গুলোর মধ্যে গেস্ট পোস্ট করে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা খুবই ভালো লাগে। এর কারণ হচ্ছে গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে হাই কোয়ালিটি  ব্যাকলিংক তৈরি করা যায় আর গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে আপনি সেই সাইট থেকে পুরোপুরি সামর্থক পাবেন। গেস্ট পোস্ট হচ্ছে কিছু সাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি অতিথি হিসেবে পোস্ট করতে পারবেন আর সেই পোস্টে আপনার সাইটের লিংক যুক্ত  করার সুযোগ পাবেন। গেস্ট পোষ্টের মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করার বাংলাদেশের মধ্যে সেরা সাইটগুলো হচ্ছে। trickbd.com,techtunes.io অন্যতম সাইট।

২। ফোরাম বা প্রশ্নোত্তর সাইট

কিচ্ছু সাইট আছে যেই সাইট গুলোতে মানুষ প্রশ্ন করে আর অন্যরা এসে তার উত্তর দেয়। আপনার সাইটের টপিক অনুযায়ী সেই সাইট গুলোতে উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনার সাইটের লিংক যুক্ত করতে পারবেন। এইভাবে ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করলে খুব ভালো পরিমাণের ভিজিটরও পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সেরা প্রশ্ন উত্তর সাইটগুলো হচ্ছে।bissoy.com,quora.com

 ৩। পিকচার যুক্ত করার সাইট

বিভিন্ন সাইট আছে যেই সাইটগুলোতে মানুষ প্রতিনিয়ত পিকচার যুক্ত করে থাকেন। সেই সাইটগুলোতে পিকচার যুক্ত করার সময় আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলোর লিংক যুক্ত করে দিলেই ব্যাক লিঙ্ক তৈরি হবে। এভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করলে সে পিকচারগুলো তো ক্লিক করলে আপনার সাইটে প্রবেশ করবে। পিকচার যুক্ত করার সাইট হচ্ছে pinterest.com এই সাইটটি অনেক জনপ্রিয় এই সাইটের প্রচুর পরিমাণ এর ভিজিটর রয়েছে তাই এ সাইটের মাধ্যমে যদি ব্যাকলিংক তৈরি করেন তাহলে ভালো ভিজিটর পাওয়া সম্ভবনা থাকবে।

৪। সোশ্যাল মিডিয়ার সাইট

সোশ্যাল মিডিয়ার সাইট গুলোর মাধ্যমেও ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে পারবেন। আপনার সাইটের আর্টিকেলগুলো ফেসবুক, টুইটার সহ যেগুলো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার সাইট রয়েছে সেগুলোতে পাবলিশ করতে পারেন। এর ফলে যে রকম ভিজিটর পাবেন তার সঙ্গে ব্যাকলিংক ও তৈরি হবে।

আমি কয়েকটি সহজ মাধ্যম আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যার মাধ্যমে যার একদম এই সেক্টরের নতুন বা তেমন কোন জ্ঞান নেই আশা করি তারাও ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবে।

ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় যেই বিষয়গুলো সতর্ক থাকা উচিত

নতুন অবস্থায় ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার সময় আপনি অনেক ভুল করে থাকবেন আর এটাই স্বাভাবিক কারণ এই সম্পর্কে আপনার তেমন ধারনা নেই। তাই আমি আগেই আপনাদেরকে কিছু বিষয়ে সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব যেগুলো থেকে সতর্ক থাকবেন।

১। হাই ডোমেইন অথরিটি সাইট

যে সাইট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর রয়েছে এবং গুগল থেকে অর্গানিক ভিজিটর প্রবেশ করে সেই সাইটের ডোমেইন অথরিটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। আর যেই সাইটের ডোমেইন অথরিটি বেশি সেই সাইট গুগল গুরুত্ব সহকারে দেখে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন হাই ডোমেইন অথরিটি সাইট থেকে ব্যাকলিংক নেওয়ার। আপনি লো ডোমেইন অথরিটি সাইট থেকে শত শত ব্যাকলিংক নিয়ে যতটুকু উপকার পাবেন তার থেকে বেশি উপকার পাবেন একটি হাই ডোমেইন অথরিটি সাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক  নিলে।

২। একই ক্যাটাগরির সাইট সিলেক্ট করুন

আপনার ওয়েবসাইটে যদি ট্রাভেল বিষয়ে লেখালেখি বা ব্লগিং করেন কিন্তু ফুড রিভিউ বা রেসিপি সম্পর্কের  ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নেন তাহলে তেমন  লাভ হবে না। আপনি যে নিশ বা বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন সেই একই ক্যাটাগরির নিশ অনুযায়ী সাইট সিলেক্ট করে ব্যাকলিংক তৈরি করুন। এইভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করলে ভালো ভিজিটর পাওয়া যায়।

৩। অতিরিক্ত ব্যাকলিংক তৈরি থেকে বিরত থাকুন

এতক্ষণে হয়তো ব্যাকলিংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন আর সেই কারণে ভাবছেন প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সাইট র্যাংক করাবেন। এমনটা যদি ভেবে থাকেন তাহলে একদমই ভুল ভাবছেন কারণ আপনি একদিনে যদি শত শত ব্যাকলিংক তৈরি করেন তাহলে গুগলের চোখে আপনি ভাল হতে পারবেন না আরো খারাপ হবেন গুগল এটাকে স্পাম, বা স্কেম হিসেবে ধরবে। তাই অতিরিক্ত ব্যাকলিংক তৈরি না করে দিনে এক থেকে দুইটা ব্যাকলিংক তৈরি করার চেষ্টা করুন

৪। শুধুমাত্র ডু ফলো ব্যাকলিংক করা যাবে না

আপনি ইতিমধ্য জানতে পেরেছেন ডু ফলো এবং নো ফলো ব্যাকলিংক সম্পর্কে, ওয়েবসাইটের জন্য নো ফলো ব্যাকলিংক থেকে ডু ফলো ব্যাকলিংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই বলে আপনি শুধু ডু ফলো ব্যাকলিংক তৈরি করবেন, তা কিন্তু হবে না কারণ সবকিছুর ভালো এমন মন্দ দিক রয়েছে আপনার সাইটের জন্য দুই পদ্ধতিতেই ব্যাকলিংক তৈরি করার পরামর্শ থাকবে। কিন্তু চেষ্টা করবেন নো ফলো ব্যাকলিংক কম তৈরি করার, ডু ফলো ব্যাকলিংক যদি ৫০ টা তৈরি করেন নো ফলো ব্যাকলিংক ১-২ টা তৈরি করবেন এর ফলে আপনার সাইটে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

আমাদের শেষ কথা

আমি অন পেজ এবং অফ পেজ এসইও এর সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিয়েছি। একটি ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এর জন্য এই দুইটি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন বর্তমান গুগলের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাই কন্টেন আপনি যদি হাই কোয়ালিটি এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল রেঙ্কিং হবে। তাই অফ পেজ এসইও এর সাথে অন পেজ এসইও এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং ভালোভাবে করতে হবে তাহলেই আপনার আর্টিকেল রেংকিং হবে এবং সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন এবং কোন কিছু যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে বলুন আমি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।

Follow topics bangla facebook page

Topicsbangla

জানা ও অজানা বিষয় গুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরা আমাদের মূল লক্ষ।আমাদের সাথেই থাকুন আশা করি উপকৃত হবেন।☺☺

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button