১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস এবং এর ইতিহাস কি?
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে। প্রতিবছরই দেখা যায় ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক উত্তেজনা কাজ করে এবং এই দিনটি তে মানুষ নানা ধরনের উল্লাসে মেতে থাকেন।
মূলত ১৪ ফেব্রুয়ারি মানুষের ভালোবাসা দিন হিসাবে সারা বিশ্ব পালন করে থাকেন। প্রথম দিকে এটি শুধুমাত্র পশ্চিমাদেশ গুলো ঐতিহ্যবাহী উৎসব এবং খ্রিস্ট ধর্ম থেকে উদ্ভাবিত হয়। আস্তে আস্তে এই ওষুধটি সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমান সময়ে পুরো পৃথিবীর প্রায় অনেকগুলো দেশি এই দিনটি উদযাপন করেন তার মধ্যে বাংলাদেশেও ব্যতিক্রম নয়।
১৪ই ফেব্রুয়ারিতে মানুষ সাধারণত তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন। একজন পুরুষ এবং নারীর মাঝে যে ভালোবাসা তৈরি হয় সে ভালোবাসার আরো রঙিন করে তোলার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি বেছে নেই মানুষ।
১৪ ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মাঝে চলে ভালোবাসার জমজমাট এক উৎসব। এই দিনে একে অপরকে নানা ধরনের আকর্ষণী উপহারের মাধ্যমে সারপ্রাইজ থাকেন
আবার কারো প্রতি যদি ভালোবাসা থাকে সে ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য অনেকে এই দিনটাকেই বেছে নেওয়া হয়। অনেকের মুখে শোনা যায় এই দিনে যদি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয় তাহলে নাকি কেউ ফেরাতে পারে না। তাই মানুষ মনে করেন ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য এই দিনটি হচ্ছে সবথেকে উত্তম একটি দিন।
১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ইতিহাস জানুন
বন্ধুরা আপনাদের মনে কি কখনো এমন কোন প্রশ্ন এসেছে যে বছরের এতগুলো তারিখ থাকতে কেনই বা ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করছে মানুষ। এর পিছনে রয়েছে কষ্টদায়ক এক ইতিহাস যা শুনলে আপনার চোখে জল চলে আসবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বর্তমানে নানা ধরনের ভুল ইতিহাস রয়েছে যেগুলো একটিও সঠিক নয় আজকে আপনাদের সঙ্গে আমি সঠিক ইতিহাসটি তুলে ধরব। এই ইতিহাসের ঘটনার পর থেকে মানুষ ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করছেন।
খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্য একটি সাধারন আর্থিক সংকটে পড়েছিল, সে সময় অর্থনৈতিক হতাশা পুরো সাম্রাজ্যে গ্রাস করে নিয়েছিল। সেই সময়ের শাসকেরা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত এতে করে সমাজ ছিল অশান্ত এবং এর থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ জনগণ বিদ্রোহী করেছিল। শাসকগোষ্ঠীরা নিজেদের শাসন বজায় রাখার জন্য অভিজাত শ্রেণীর জনগণ ও খ্রিস্টানদেরকে নির্মূল ভাবে দমন করার চেষ্টা করে। আর সেই সময়েই ভ্যালেন্টাইন নামক এক খ্রিস্টান ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করা হয়। সেই খ্রিষ্টান ব্যক্তিটি কারাগারে থাকা অবস্থায় তার হৃদয় দিয়ে ওআরডেন কন্যাকে স্পর্শ করেছিলেন। তারা একে অপরকে ভালোবাসে এবং ওডেন এর মেয়ে তাদের যত্ন নেয়। শাসকগোষ্ঠীর শ্রেণীর লোকেরা সেই ব্যক্তিটির ফাঁসির আদেশ দেয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে, তিনি ওয়ার্ডেন কন্যার কাছে একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট লিখেছিলেন যাতে তিনি তার নির্দোষ ঘোষণা করেন। এটি ওয়ার্ডেনের মেয়ের প্রতি তার সরল হৃদয় এবং গভীর ভালোবাসা দেখায়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭০ খ্রিস্টাব্দে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এরপরে ন্যায়বিচার এবং বিশুদ্ধ প্রেমের জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের স্মরণ করার জন্য খ্রিস্টানরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিনটিকে “সেন্ট ওয়াররেনেস ডে” হিসাবে মনোনীত করেন। পরবর্তীতে এই দিনটিকে valentines day হিসাবে পরিবর্তন করানো হয়।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
ডিলিট করা ফেসবুক পোস্ট কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় আসুন জেনে নেই
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন