শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন
শীতকালে আমাদের ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত। শীতকালে আমাদের ত্বক বেশি শুষ্ক এবং ফেটে যায় যার কারণে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে ত্বকের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। তাই শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
কলার ফেসপ্যাক
শীতকালে আপনার ত্বক যদি সুস্থ হয়ে যায় তাহলে কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করার জন্য কলা ভালো মতে ব্লেন্ডার মাধ্যমে মিশ্রিত করে নেবেন তার সাথে দুধ, মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ধুয়ে ফেলুন।
বাদাম তেল
শীতকালে ত্বক শুকিয়ে সব সময় শুষ্ক ভাব হয়ে থাকে। তার জন্য আপনি বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন বাদাম তেল ত্বকের জন্য অন্তত উপকারী কারণ এটি আপনার ত্বকে উপযুক্ত আদ্রতা প্রদান করবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের আভা বজায় রাখবে।
শসা
যেকোনো ত্বকের সমস্যা নিরাময়ের জন্য শসা সেরা প্রতীকার উপাদান। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলের উপাদান যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো কার্যকর। আপনি এটি সরাসরি খেতে পারেন এবং আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
আলুর টুকরো ও টমেটো টুকরো
আলুর টুকরো ও টমেটোর টুকরোতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব কমিয়ে ফেলে। আলুর টুকরো ও টমেটো টুকরো কেটে এর রস আপনার ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। আলুর টুকরো ও টমেটোর টুকরো হাতে নিয়ে আপনার মুখে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন।
ডিম
ডিম প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহারযোগ্য। ডিমে রয়েছে ফ্যার্টি অ্যাসিড এবং জলের উপাদান যা ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ভালো কাজ করে। আপনার ত্বকে যদি ছোট ছোট ছিদ্র থাকে সেটা ভরাট করার জন্য ডিমের সাদা অংশ খুব ভালো কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের ধরন বুঝে রূপচর্চা করুন। ত্বকের ধরন বোঝার উপায়
আপনার ত্বকের ডিম প্রয়োগ করার আগে ডিমের সাথে মধু অলিভ অয়েল বা দই মিশিয়ে ফেস মাস্ক হিসাবে লাগাতে পারেন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগানোর পরে যখন শুকিয়ে যাবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার মুখ ধোয়ার পরে নিজেই পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন।
অ্যালোভেরা
বেশ কিছু রোগের এবং ত্বকের যত্নের জন্য অ্যালোভেরা প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে অ-চর্বিযুক্ত টেক্সচার যা আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করবে। ত্বকের ব্রণের সমস্যা এবং ব্রনের দাগ থাকলে সেগুলো দূর করার জন্য অ্যালোভেরা খুব ভালো কাজ করে।
আপনি চাইলে গাছ থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করতে পারেন অথবা বাজারে অ্যালোভেরা জেলের অনেক প্রোডাক্ট পাওয়া যায় যেগুলো ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল গাছ থেকে বের করার জন্য গাছের উপর এবং নিচের অংশটুকু বাদ দিয়ে মাঝের যেই পিচ্ছিল উপাদান রয়েছে সেটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
অ্যালোভেরা জেল ত্বকে প্রয়োগ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আর আপনি যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে সারারাত অ্যালোভেরা জেল মুখে দিয়ে রাখতে পারেন এবং সকালে উঠে ফেসওয়াশ বা স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার পরে যদি আপনার ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং পরবর্তীতে আপনার ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার না করাটাই ভালো।
দুধ
শীতকালে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। আর ত্বকের সেই উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কাঁচা দুধ খুব ভালো কার্যকর উপাদান।
দুধের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ল্যাকটিক অ্যাসিডের মতন উপাদান যা আপনাদের ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
আপনি চাইলে কাঁচা দুধের সঙ্গে পেঁপে মধু বাদাম হলুদ এর মতন উপাদান একত্রিত করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার।
দই
দই একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর এবং শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকার গুলোর মধ্যে একটি। দই এর মাঝে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মৃত কোষগুলো পুনরায় সজীব করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের আদ্রতা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপনি দই এর সাথে কয়েক ফোঁটা মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল
যাদের ত্বক সব সময় শুষ্ক থাকে এবং শীতকালে আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাদের ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করা উচিত এটি মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
কয়েক ফোটা নারিকেল তেল গরম করে আলতো ভাবে মতে ম্যাসাজ করুন তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন অথবা সারারাত মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন এবং সকালবেলা এটি ধুয়ে ফেলুন।
মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি
শীতকালে আমাদের ত্বকের সাথে ঠোঁট ও ফেটে যায়। তাই সবসময় চেষ্টা করুন মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটে এবং ত্বকে ব্যবহার করার। প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে ঘুমাবেন তাহলে ঠোঁট ফাটার মতন সমস্যায় পড়তে হবে না।
প্রচুর পানি পান করুন
নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ও ত্বক ভালো রাখার জন্য পানি পান করার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রচুর পানি পান করার ফলে আপনার শরীরে যে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান রয়েছে সেগুলো ঘাম এবং প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। যার কারণে ত্বক আরো সজীব এবং স্বাস্থ্যকর দেখায়। পানি পান করার ফলে আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং বলিরেখা ভাব কমাতে সাহায্য করে। একজন মহিলার প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৬ লিটার পানি পান করা উচিত এবং একজন পুরুষের প্রায় ২ লিটার পানি পান করা উচিত।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
ডিলিট করা ফেসবুক পোস্ট কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় আসুন জেনে নেই
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।