ফেসবুকে ফেক আইডি চেনার উপায় গুলো জেনে নিন
ফেইসবুকে ফেক আইডি সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তার সঙ্গে সমস্যা ও তৈরি হয়েছে ফেসবুকে কোনটি রিয়েল আইডি কোনটি ফেক আইডি সেটা বোঝা মুশকিল। আজকের আলোচনার বিষয় হলো কিভাবে আমরা বুঝবো কোনটা ফেক আইডি আর কোনটা রিয়েল আইডি। ফেসবুকে অনেক ফেক আইডি দ্বারা আমরা নানারকম প্রতারিত ও হয়রানি শিকার হই। আপনি ভাবছেন যে মানুষটার সাথে কথা বলছেন কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানতে পারবেন আসলে সেই মানুষটার সাথে কথা বলেননি সে অন্য একটা মানুষ ছিল তাহলে আপনার কেমন লাগবে অবশ্যই অনেক খারাপ লাগার কথা। অনেক বড় বড় সেলিব্রিটি ছবি দিয়ে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু খারাপ চক্রের দল।
আবার মেয়ে দের নামে বেশি ফেক আইডি খোলা হয় এর কারণ মেয়েদের আইডির প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ থাকে
আজকে আপনাদের সাথে এমন কিছু টিপস শেয়ার করবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ফেক এবং রিয়েল অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। তাহলে বেশি কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
ফেক আইডি খোলার কারন
প্রতিটা কাজের পেছনে যেকোনো একটি উদ্দেশ্য থাকে। তেমনি ফেসবুকে ফেক আইডি খোলার পেছনেও কিছু উদ্দেশ্য বা কারণ রয়েছে। মূলত মানুষ ফেক আইডি খুলে থাকে প্রতারণা করার জন্য। ফেক আইডির মাধ্যমে অন্যের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া থাকে মূল উদ্দেশ্য।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বন্ধু-বান্ধবের সাথে মজা করার জন্য ফেক আইডি ব্যবহার করে।
ফেক আইডি চেনার উপায়
যেখানে সমস্যা রয়েছে সেখানে সমাধানও রয়েছে। ফেক আইডি কতটা ভয়াবহ হতে পারে যার সাথে প্রতারিত বা সমস্যা হয়েছে শুধুমাত্র সেই এটি বুঝতে পারবে। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন থাকি তাহলেই এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারব। ফেক আইডি চেনার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় বা মাধ্যম রয়েছে যেগুলো তারা আপনি একটি ফেক আইডি চিহ্নিত করতে পারবেন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেইক আইডি চেনার উপায়
১। নাম
ফেক আইডি চিনার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে নামের দিকেই খেয়াল রাখতে হবে।অনেক সময় শুধুমাত্র নাম দেখে আপনি বুঝতে পারবেন এটি একটি ফেক আইডি। খেয়াল করে দেখবেন ফেসবুকে কিছু আইডি রয়েছে যেগুলোতে উল্টাপাল্টা নাম ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ অবুঝ মনের ভালবাসা, তোমার প্রেমে আসক্ত , একাকী জীবন ইত্যাদি আরো অনেক নাম রয়েছে যে নামগুলো আপনি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন এই নামগুলো কারো ব্যক্তিত্ব বা পরিচয় বহন করে না।
২। ফ্রেন্ডলিস্ট
ফেক আইডি গুলোতে অসংখ্য বন্ধুর সংখ্যা থাকে। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে প্রতারণা করার আর প্রতারণা করার জন্য বেশি বন্ধু থাকলে বেশি প্রতারণা করা সম্ভব। আপনি যদি একটু ভালোভাবে তাদের ফ্রেন্ডলিস্টগুলো চেক করেন তাহলে বুঝতে পারবেন এটি ফেক আইডি নাকি রিয়েল আইডি ।রিয়েল আইডি গুলোতে সাধারণত বন্ধুর সংখ্যা কম থাকে। আর ফেক আইডি গুলোতে বন্ধু সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে ।কোন মেয়ের আইডিতে যদি শুধু ছেলে বন্ধুর সংখ্যা বেশি থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে এটা ফেক আইডি। তেমনি কোন ছেলের আইডিতে যদি বেশি পরিমাণে মেয়ে বন্ধু থাকে তাহলে ফেক আইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ।
আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন
৩। পিকচার
ফেসবুক আইডির পিকচার গুলো দেখেই বুঝতে পারবেন এটি রিয়েল আইডি নাকি ফেক আইডি। ফেক আইডি গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ছবি ব্যবহার করে। আবার মানুষের ছবি বদলে কার্টুনের ছবি ব্যবহার করে অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা তাদের প্রাইভেসি রক্ষার জন্য কার্টুনের ছবি ব্যবহার করতে পারে কিন্তু বেশিরভাগ ফেক আইডি গুলো কার্টুনের ছবি ব্যবহার করে।
৪। লাইক ও কমেন্ট দেখুন
সাধারণত ফেক আইডি মেয়েদের নামে বেশি খোলা হয়। আর স্বাভাবিকভাবে একটি মেয়ের মেয়ে বান্ধবী বেশি হওয়ার কথা এবং তাদের লাইক কমেন্ট ও থাকার কোন আইডিতে যদি একদমই মেয়েদের লাইক কমেন্ট না থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে সেটি ফেক আইডি।
৫। মেসেজ
ফেক আইডিগুলো থেকে মেসেজ পাওয়া যায়না। কারণ ফেক আইডি গুলো খোলা হয় কোন এক বিশেষ উদ্দেশ্যে। সেই আইডি গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে শুধুমাত্র কোন এক বিশেষ উদ্দেশ্য। তাই ফেক আইডি গুলো বেশি একটা অ্যাক্টিভ থাকেনা যার কারণে রিপ্লাই পাওয়া যায় না।
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ফেক আইডি থেকে সাহায্যর বা প্রেম নিবেদনের কথা বলে টাকা চেয়ে বসে । ভুলেও এদেরকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা দিবেন না কারণ এরা টাকা নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।
৬। আজে বাজে ছবি
রিয়েল আইডি গুলোতে আজেবাজে ছবি কেউ শেয়ার করে না। কারন একটি ফেসবুক আইডি একজনের ব্যক্তিত্ব বহন করে। কিন্তু আপনি খেয়াল করে দেখবেন কিছু আইডি তে অনেক আজেবাজে ছবি শেয়ার করা হয় আসলে ফেক আইডিগুলোতে মানুষ বেশি আজেবাজে ছবি শেয়ার করে থাকেন। তাই যেগুলো আইডিতে অ্যাডাল্ট ছবি শেয়ার করা হয় সেই আইডি গুলো এড়িয়ে চলুন।
৭। রিসেন্টলি অ্যাক্টিভ
একটি আইডির রিসেন্টলি অ্যাক্টিভ চেক করলেই বোঝা যাবে এটা রিয়েল নাকি ফেক। কারণ রিসেন্টলি অ্যাক্টিভ এর মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন সে কোন পেজগুলো লাইক দিচ্ছে বা গ্রুপে জয়েন হচ্ছে। ফেক আইডিগুলো দিয়ে মানুষ অ্যাডাল্ট পেজে বা গ্রুপগুলো তে বেশি অ্যাক্টিভ থাকে।
৮। জন্মতারিখ
ফেসবুক আইডি জন্মতারিখ গুলো চেক করুন কারণ ফেক আইডি জন্মতারিখ ঠিক দেওয়া থাকে না। যেমনঃ০১.০১.২০২০, ১২.১২.২০২০ এমন টাইপের জন্মতারিখ দেওয়া থাকে আইডি গুলো তাড়াতাড়ি খোলার সময় জন্মতারিখ সেভাবে খেয়াল করেনা।
৯। মোবাইল নাম্বার
যেসব আইডি গুলোতে মোবাইল নাম্বার পাবলিক করে রাখে সেই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ একজন মেয়ে তার প্রাইভেসি রক্ষা করার জন্য কখনো তার নাম্বার পাবলিক করবে না। তাই যেইসব আইডি একাধিক নাম্বার পাবলিক করা আছে সেগুলো ফেক আইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি
১০।শেষ কথা
মানুষ এখন সারাদিনে ইন্টারনেট এর মধ্যে অনেক সময় ব্যয় করছে। তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বেশি সময় ব্যয় করে। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন থাকা উচিত। ফেক আইডি থেকে কেউ বিরক্ত করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিন। সবাইকে ধন্যবাদ এত সময় নিয়ে আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য
আরো পড়ুনঃ
অনলাইন ইনকাম বাড়ানোর জন্য যেসব কাজ করা যায় আসুন জেনে নেই
সঠিক পথে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।
আমাকে এটা ফেক আইডি দিয়ে খুব ডিসটার্ব করতাছে আমি জানতে চাই কে সে লোক যে আমার সর্বনাশ করতাছে তার নাম ঠিকানা জানতে চাই যদি বলতেন অনেক বড় উপকার হতো এই ফেক আইডি টা নিয়ে আমার শশুর বাড়িতে ঝামেলা চলতাছে