ফেসওয়াশ কোনটা ভালো?ফেসওয়াশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
ফেসওয়াশ কোনটা ভালো? ফেসওয়াশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম, এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে এগুলোর বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবো। কাজ করার কারণে দীর্ঘ সময় আমাদের বাইরে থাকতে হয় বাইরে থাকার ফলে ধুলোবালি, রোদ আমাদের ত্বককে নষ্ট করে দেয় এবং ত্বকে ধুলোবালি জমে ত্বকের উজ্জলতা কমিয়ে দেয় ও ত্বক ড্যামাজ হয়ে যায়। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখলে ত্বক ভালো থাকে। অনেকে আছেন শুধু পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন, কিন্তু খালি পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। আবার অনেকেই সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কারণ আমাদের মুখের ত্বক আর শরীরের ত্বক এক নয়। সাবানে থাকে অতিরিক্ত ক্ষার যা মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই মুখ পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজন ফেসওয়াশ।
আমার মতে প্রতিটি মানুষের ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত এর ফলে ত্বক ভালো থাকার পাশাপাশি সৌন্দর্য বজায় থাকে।
ফেসওয়াশ কোনটা ভালো, ফেসওয়াশ ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে আপনার ত্বকের ধরন সম্পর্কে জানতে হবে এর কারণ হচ্ছে ফেসওয়াশ কোম্পানিগুলো ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ তৈরি করে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় কিন্তু আপনি শুষ্ক ত্বকের ফেসওয়াস ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের উপকার হওয়ার থেকে ক্ষতি বেশি হবে। ত্বকের ধরন সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
ফেসওয়াশ কোনটা ভালো?
বাজারে অনেক ধরনের ফেসওয়াশ রয়েছে তার মধ্য থেকে ভালো মানের ফেসওয়াশ গুলো বেছে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। নিম্নমানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করবেন না। আজকে আমি বাজারের সেরা ফেসওয়াশ গুলো সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুবই ভাল ফলাফল পাবেন।
১। Neutrogena Oil-Free Acne Wash
যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা চোখ বন্ধ করে এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এ ফেস ওয়াশ তৈরি করা হয়েছে তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিদের জন্য। এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করার ফলে মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে দেবে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করবে।
ব্যবহারযোগ্যঃ শুধুমাত্র তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
২। Himalaya Purifying Neem Face Wash
এই ফেসওয়াশ সম্পর্কে কম বেশি সবাই জেনে থাকবেন কারণ বাংলাদেশি এই ফেস ওয়াশের প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই ফেস ওয়াশ তৈরি করা হয়েছে নিমপাতা দিয়ে আর আমরা সবাই জানি নিমপাতা ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য খুবই উপযোগী। নিম পাতা ত্বকের জীবাণু ও ময়লা পরিষ্কার করে ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এই ফেস ওয়াশ আপনার মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
ব্যবহারযোগ্যঃ সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। Garnier Skin Naturals Gentle Soothing Face Wash
এই ফেসওয়াশে রয়েছে ফল থেকে নিষ্কাশিত আলফা হাইড্রোক্সি এসিড যা আপনার ত্বককে তার স্বাস্থ্যকর আভা ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এই ফেসওয়াশে যুক্ত রয়েছে স্যালিসিলিক যা ব্রণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে।
ব্যবহারযোগ্যঃ সাধারণ ত্বকের জন্য
৪। CeraVe Hydrating Cleanser
এই ফেসওয়াশে রয়েছে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এবং যাদের ত্বক শুস্ক তাদের ত্বকের শুস্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
ব্যবহারযোগ্যঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য
৫। OXY Perfect Wash Fach Wash
এই ফেসওয়াশ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক পুনরুদ্ধার করে এবং ত্বককে সুস্থ করে তোলে। এই ফেসওয়াশ ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এই ফেসওয়াশে রয়েছে ভিটামিন B3 যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। অ্যাক্টিভ ব্লু ক্রিস্টালাইন রয়েছে যা ত্বকের ছিদ্রের মধ্যে গভীর ভাবে প্রকাশ করে এবং ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি উজ্জলতা করে। যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
ব্যবহারযোগ্যঃ তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্রণের আক্রান্ত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
সতর্কতাঃ বর্তমানে বাজারে নকল ফেসওয়াশ যুক্ত হয়েছে,, তাই ফেসওয়াশ ক্রয় করার সময় বিশ্বস্ত দোকান বা কোন সুপার স্টোর থেকে ক্রয় করার চেষ্টা করুন।
ফেসওয়াশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
ইতিমধ্যে আমরা সেরা ফেসওয়াশ গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শুধু ফেসওয়াশ সম্পর্কে জানলে হবে না ফেসওয়াশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে। আপনি যদি ফেসওয়াশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জেনে ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু ফেসওয়াশ ব্যবহার করার ফলে ভালো রেজাল্ট পাবেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসওয়াশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ প্রথমে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, তারপর ফেসওয়াশ দুই হাতে নিয়ে দুই হাত দিয়ে ভালো করে মিক্স করে মুখে আলতো করে মাখুন। তারপর মুখে আলতো ভাবে রাউন্ড করে ম্যাসাজ করুন। খেয়াল রাখবেন বেশি জোরে মুখে ম্যাসাজ করবেন না। কারণ আমাদের মুখের ত্বক খুবই পাতলা জোরে ম্যাসাজ করার কারণে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তারপর ফেসওয়াশ মেখে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারের সময়ঃ আপনার মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিদিন দুইবেলা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। আর যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত তারা চাইলে দিনে তিনবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
সতর্কতাঃ ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন খেয়াল রাখবেন কোন ভাবে যাতে ফেসওয়াশ চোখে সংস্পর্শে না যায়। আরও যদি কোনভাবে চোখের যায় সাথে সাথে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম