ঘরোয়া ভাবে পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়
আমাদের মাঝেমধ্যে পেটের সমস্যার জন্য ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে ও পেটে গ্যাস হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ঠিক মত পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। পায়খানা ক্লিয়ার না হলে অস্বস্থির মধ্যে থাকতে হয়। কোন কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া যায় না।
বর্তমানে বাংলাদেশের খাবারের যে পরিমাণে ভেজাল থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। খাবারের গুন গত মান ভালো না হওয়ার কারণেই মাঝে মধ্যেই পেটে নানা সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন যদি এইরকম পেটের সমস্যা দেখা দেয় বা পায়খানা ঠিকমতো ক্লিয়ার না হয় তাহলে গেজ, পাইলস সহ আরো অন্যান্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জীবন পরিচালনার মধ্যে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় সম্পর্কে।
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
প্রচুর পানি পান করুন
পেটের পাকতন্ত্রের কার্যক্রম ঠিকভাবে করার জন্য প্রয়োজন পানি। যারা পানি কম পান করেন তাদের মধ্যে হজম জনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়। পানি আমাদের দেহের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের করে ফেলে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন চার থেকে পাঁচ গ্লাস পানি পান করার।
আপনার যখন বাথরুম ঠিকভাবে হবে না তখন হালকা কুসুম গরম পানি করে পান করুন। গরম পানি সহজে হজম করতে সাহায্য করে এবং বাথরুম ঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।
আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
পেট পরিষ্কার করার জন্য আঁশযুক্ত খাবারের ভূমিকা অপরিসীম। আপনার যখন গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিবে তখন এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যেগুলোর দ্বারা আরো বেশি গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যার মাধ্যমে আপনার গ্যাসের সমস্যাটি দূর হয়। আর গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কার্যকরী খাবার হচ্ছে আশ যুক্ত খাবার গুলো।যেমনঃ পেঁপে, আপেল, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, গাজর ইত্যাদি।
ইসুবগুলের ভুষি
ইসুবগুলের ভুষি সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন এর উপকারিতা অনেক বেশি। পেটে গ্যাসের সমস্যার সাথে অন্যান্য যেই সমস্যা গুলো রয়েছে যেমন ibs, আলসার, পাইলস সহ নানা ধরনের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ইসুবগুলের ভুষি।
এই ভুসি খাওয়ার সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে সেটি হচ্ছে এটি খাওয়ার পূর্বে রাত্রে ভিজে রাখতে হয় এবং সকালে পান করতে হবে যা সম্পূর্ণ ভুল।
ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে খাবার খাওয়ার পরে এক থেকে দুই মিনিটে ভালোমতো পানিতে গুলিয়ে নিবেন তারপর পান করবেন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য রাত্রের খাবার খাওয়ার পরে এটি পান করবেন। দীর্ঘদিন ইসবগুলের ভুষি খাইলে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সর্বোচ্চ একটানা ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত খাবেন।
আদা
আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার জন্য আদা খুবই কার্যকরী উপাদান। তার মধ্যে পেট পরিষ্কার করার জন্য আদা কিন্তু খুব ভালো কাজ করে। আদতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ক্লোনের প্রদাহ কমায় ক্লোরেক্টর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
আপনি চাইলে সরাসরি আদা খেতে পারেন অথবা গরম পানির সঙ্গে বা চা এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রতিদিন সর্বোচ্চ চার গ্রাম আদা খাওয়া যেতে পারে এর অতিরিক্ত গ্রহণ করলে পেটে অসস্তি ডায়রিয়াজনিত সমস্যা দেখা দিবে।
সব সময় পেট পরিষ্কার রাখার উপায়
আপনার যদি কিছুদিন পরপরই পেটের গ্যাসের সমস্যা বা পেট পরিষ্কার না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রেখে চলতে হবে সেগুলো হচ্ছে।
মলত্যাগঃ গ্যাস দূর করতে মল চলে যাওয়া কার্যকর তাই আপনার গ্যাসের সমস্যা দিলে মলত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
ধীরে খাওয়াঃ সরাসরি খাবার গিলবেন না। বায়ু খাদ্যের সাথে আপনার পেটে প্রবেশ করতে পারে যা গ্যাসের ব্যথা হতে পারে। ধীরে ধীরে খাবার খান এবং ভালো মতে চিবিয়ে নিন। এটি বদ হজম এবং ফোলা ভাব দূর করতে সাহায্য করবে এবং আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা সহজে দেখা দিবে না।
কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুনঃ বিভিন্ন ধরনের যেগুলো ড্রিংস রয়েছে সেগুলো বেশি খাওয়া যাবেনা। যেমনঃ কোকো কলা, সেভেন আপ ইত্যাদি।
ধূমপান ত্যাগ করুনঃ ধূমপান আপনার পেটে আটকে থাকা গ্যাস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার মূল কারণ। তাই আটকে থাকা গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে ধূমপান ত্যাগ করুন।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
ডিলিট করা ফেসবুক পোস্ট কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় আসুন জেনে নেই
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।