মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায়
চিকন হওয়ার উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব আশা করি সবাই মনোযোগ দিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন। আমাদের মাঝে কিছু মানুষ আছে যারা জন্মগতভাবে মোটা বা জিনগতভাবে মোটা আবার কিছু মানুষ আছে যারা অনিয়ন্ত্রিত জীবন পরিচালনা করার জন্য মোটা। আমাদের স্বাস্থ্য যদি বেড়ে যায় তাহলে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। কারণ আপনি যদি বেশি মোটা হন। তাহলে আপনাকে দেখতে বেশি আকর্ষনীয় লাগবেনা। তাই নিজেকে স্মার্ট করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
আমাদের স্বাস্থ্যে যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বেশি মোটা হওয়ার ফলে বেশি পরিশ্রমি কাজগুলো করা সম্ভব হয় না। একটু কাজ করতে ক্লান্ত অনুভব হয়। তারপর মোটা হওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়। যার কারণে মোটা মানুষদের শরীরে ডায়াবেটিস সহ আরো নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। এইসব সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা চিকন হওয়ার উপায় খুঁজি।
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
চিকন হওয়ার উপায়
চিকন হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো অনুসরণ করলে আমরা সহজে চিকন হতে পারবো। আপনি যদি মোটা থেকে চিকন হতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার যেটা প্রয়োজন তা হলো নিজের ইচ্ছেশক্তি এবং জীবন পরিচালনায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে তার সাথে একটু কষ্ট করতে হবে।
১।খাবার তালিকা
আপনি যদি মোটা থেকে চিকন হতে চান তাহলে অবশ্যই খাবারের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে।আমাদের মাঝে কিছু মানুষ আছে যারা মনে করেন অল্প পরিমাণ খাওয়া-দাওয়া করলেই হয়তো আমি চিকন হয়ে যাব। কিন্তু এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল কারণ হচ্ছে ধরুন আপনি সকালে খুব কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলেন কিন্তু দুপুরে যখন খাবার গ্রহণ করবেন তখন সকালের চাহিদাটুকু আপনার শরীর মেটানোর চেষ্টা করবে তাই বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করতে চাইবে। যা আমাদের উপকার থেকে অপকারই হবে। আবার কিছু মানুষ আছে যারা চিকন হওয়ার জন্য একবারে খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেয় যা কখনো ঠিক না এর ফলে আপনি খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
আমাদের মোটা হওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরের যত পরিমাণ এর ক্যালরি প্রয়োজন তার থেকে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করি। এবং কোনো পরিশ্রম করি না যার কারণে বাকি ক্যালরি গুলো আমাদের শরীরের মেদ বাড়িয়ে দেয়।
আমাদের শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে কার্বোহাইড্রেট। তাই যে খাবারগুলোতে কার্বোহাইড্রেট থাকে সেই খাবারগুলো কম পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত কার্বোহাইড্রেট যে খাবার গুলোর মাঝে বিদ্যমান থাকে।যেমনঃচাল, চিনি, আটা, ময়দা, মিষ্টি, মধু, আম, আলু, মিছরি, গুড়, চিড়া, মুড়কি, সাগু, বার্লি ইত্যাদিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
খাদ্য তালিকার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থেকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি রাখার চেষ্টা করুন। প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো হল। যেমনঃ দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি। প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে মাংস কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ মাংসের মধ্যে চর্বি বেশি থাকে যা আমাদের মোটা হতে সাহায্য করে। প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো আমাদের দেহে শক্তির যোগান দেয়। আর কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গুলো আমাদের মাংসপেশিগুলো বৃদ্ধি করে। তাই কার্বোহাইড্রেট খাবার গুলো বেশি না খাওয়াই উত্তম।
২। ব্যায়াম করুন
চিকন হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে ব্যায়াম খুবই কার্যকরী একটি উপায়। ব্যায়াম করলে যেমন আমাদের শরীর ভালো থাকে তার সাথে অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয়। যদি একটি আকর্ষণীয় শরীর পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি শরীর কমানোর জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হন তাহলে একটি ভালো জিমে ভর্তি হতে পারেন। এর ফলে আপনি সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করতে পারবেন এবং ওজন কমাতে পারবেন। এছাড়া বাসা তে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। এটি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যায়াম করার জন্য সবথেকে ভালো সময় হচ্ছে সকাল এবং বিকেল এই দুই সময় ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন চেষ্টা করুন এক ঘণ্টার বেশি সময় ব্যায়াম করার।
আরো পড়ুনঃ ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম
৩।ঘুম
চিকন হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে ঘুমের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুমাই তাহলে আমাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমালেই যথেষ্ট। এর বেশি বা কম ঘুমানো ঠিক না। কিছু মানুষ আছে যারা সারারাত জেগে থাকে অতঃপর আবার সারা দিন ঘুমাই যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর যদি দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমায় তাহলে আমাদের মেদ বেড়ে যাবে। তাই চেষ্টা করুন রাত ১০ টার আগে ঘুমাননোর এবং সকাল ৯ টার আগে ঘুম থেকে উঠার।
৪। বেশি বেশি পানি পান করুন।
চিকন হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হচ্ছে পানি পান করলে আমাদের ওজন কমতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সকালে নাস্তা করার 15 থেকে 20 মিনিট আগে যদি 500ml পানি পান করা হয় তাহলে শরীরের ওজন কমে যায়। দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে পানি পান করার চেষ্টা করুন।
চেষ্টা করুন দৈনিক ১০ গ্লাসের বেশি পানি পান করার। ওজন কমাতে চাইলে আপনি ঠান্ডা পানি পান করতে পারেন এর কারণ হচ্ছে ঠান্ডা পানি পান করার পর এটি হজম প্রক্রিয়া কাজ করার জন্য প্রথমে পানি গরম হতে হয় আর ঠান্ডা পানি গরম হওয়ার জন্য আপনার শরীরের ক্যালরি খরচ করবে যার ফলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আর একটি কথা মনে রাখতে হবে ওজন কমাতে চাইলে ড্রিংকস জাতীয় পানি খাওয়া যাবে না। যেমনঃ কোকোকোলা, পেপসি, সেভেন আপ এই ধরনের ড্রিঙ্কস জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
৫।শেষ কথা
আজকে চেষ্টা করেছি চিকন হওয়ার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করার। আশা করি আপনারা সবাই চিকন হওয়ার উপায় নিয়ে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। চিকন হতে চাইলে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং নিজের ইচ্ছেশক্তি থাকতে হবে।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ