অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় জেনে নিন
স্মার্ট ফোন ছাড়া আমরা একটা দিন কল্পনা করতে পারি না। আপনার মোবাইলটি যদি আনঅফিসিয়াল হয় তাহলে এটি যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে আন অফিসিয়ালি মোবাইল প্রবেশ করেছে যা বাংলাদেশের আইন ভঙ্গ করেছে। আনঅফিসিয়াললি মোবাইল প্রবেশ করার কারণে বাংলাদেশ সরকার অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে যার কারণে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যত আনঅফিশিয়ালি মোবাইল আছে সেগুলো খুব শীঘ্রই বন্ধ করে দিবে। আপনার ব্যবহারিত মোবাইলটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল সেটা অবশ্যই যাচাই করা উচিত। অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন
এক পলকে সম্পুর্ন পোস্ট
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল মোবাইল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
যারা অফিসিয়াল ও আন অফিসিয়াল মোবাইল এর মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো সম্পর্কে জানেন না বা ভেবে থাকেন আনঅফিসিয়াল মোবাইল মানেই খুবই খারাপ বা কপি মোবাইল। তাদের ভুল ধারণা গুলো ভেঙ্গে দিয়ে আসল তথ্যের সাহায্যে অফিশিয়াল ও আন অফিসিয়াল মোবাইলের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরবো
অফিসিয়াল মোবাইল কি?
কোন দেশের সকল আইন – কানুন মেনে সে দেশে বৈধ পথে মোবাইল প্রবেশ করার প্রক্রিয়াকে অফিশিয়াল মোবাইল বলে। অফিসিয়াল মোবাইল গুলো সরকারকে কর প্রদান করে দেশে প্রবেশ করে। যার কারনে এই মোবাইল গুলোকে বৈধ মোবাইল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অফিসিয়াল মোবাইলের বৈশিষ্ট্য
- প্রদত্ত ভ্যাট এবং অন্যান্য কর প্রদান করে
- আই এম ই আই নাম্বার আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের ডাটাবেজে নিবন্ধিত হয়
- ওয়ারেন্টি সময়কালে বিনামূল্যে ফোন সার্ভিসিং এর সুযোগ পাওয়া যায়
- হারিয়ে গেলে সহজেই ট্রাক করে খুঁজে পাওয়া যায়
- আপনি সরাসরি ক্লাইন্ট কেয়ার এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- অফিসের মোবাইল গুলোর মূল্য একটু বেশি থাকে এর পিছনে কারণ হচ্ছে ভ্যাট এবং অন্যান্য কর প্রদান করার কারণে মূল্য বৃদ্ধি পায়
- মোবাইল গুলো নির্দিষ্ট মূল্য বহন করে যা পুরো দেশে সব জায়গায় একই মূল্য নির্ধারণ থাকে।
আনঅফিসিয়াল মোবাইল কি?
কোন দেশের আইন-কানুন ভঙ্গ করে সে দেশের অবৈধ পথে মোবাইল প্রবেশ করার প্রক্রিয়াকে আনঅফিশিয়াল মোবাইল বলে। অনেক মানুষের মাঝে ভুল ধারণা রয়েছে যে আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলো অভ্যন্তরীণ ও বাহিক দিকগুলো ত্রুটিযুক্ত রয়েছে। কিন্তু এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। একটি আনঅফিসিয়াল ও অফিশিয়াল ফোনের মধ্যে একটি পার্থক্য সেটি হচ্ছে সরকারের আইন-কানুন ভঙ্গ করে প্রবেশ করা আর অন্যটি সরকারের আইন মেনে প্রবেশ করে। আনঅফিসিয়াল মোবাইলে কোন অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকে না।
আনঅফিসিয়াল মোবাইলের বৈশিষ্ট্য
- আন অফিসিয়াল মোবাইল গুলোর দাম অনেক কম হয় কারণ তারা ভ্যাট এবং অন্যান্য কর প্রদান করে না
- আনারফিশিয়াল মোবাইল ব্যবহারের সময় নষ্ট হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ সেটা ঠিক করে দেয় না। নিজের টাকা খরচ করে ঠিক করতে হয়।
- হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে
- দাম কোন নির্দিষ্ট থাকেনা আমদানিকারক এর খরচের উপরে দাম নির্ধারণ হয়
আরো পড়ুনঃ নতুন মোবাইল কেনার পর করনীয়
মোবাইলটি অফিশিয়াল না আন অফিসিয়াল তা চেক করার নিয়ম
আপনার হাতের ব্যবহারকৃত মোবাইলটি অফিশিয়াল নাকি আন অফিসিয়াল সেটি জানা উচিত। সেটা জানার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য
সকল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বার থাকে যার মাধ্যমে চেক করতে পারবো আমাদের মোবাইলটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
- আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বারে জানার জন্য ডায়াল প্যাডে ডায়াল করুন *#06#
- ডায়াল করার পরে ১৫ ডিজিটের প্রথম IMEI নাম্বারটি imei.info সাইটে ঢোকার পরে ফাকা বক্সে IMEI নাম্বার প্রবেশ করুন তারপর চেক বাটনে ক্লিক করুন
- ক্লিক করার পর আপনার মোবাইলের সম্পূর্ণ ডিটেইলস চলে আসবে। আরে যদি অন্য কোন তথ্য আসে তাহলে আপনার মোবাইলটি আনঅফিসিয়াল হতে পারে।
আইফোন ব্যবহারকারীর জন্য
- আইফোনের IMEI নাম্বার পাওয়ার জন্য Setting>General>About ক্লিক করুন।
- checkcoverage.apple.com সাইটে প্রবেশ করে IMEI নাম্বারটি যাচাই করুন।
- অফিসিয়াল মোবাইল হলে আসল তথ্য প্রকাশ করবে আর যদি আনঅফিসিয়াল মোবাইল হয় ভুল তথ্য প্রকাশ করবেন
বাংলাদেশের মধ্যে অফিসিয়াল মোবাইল যাচাই করার নিয়ম
এসএমএসের মাধ্যমে বাংলাদেশে অফিসিয়াল মোবাইল যাচাই করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে টাইপ করুন “KYD, একটি স্পেস দেন তারপর ১৫ সংখ্যার IMEI নাম্বারটি টাইপ করুন। যেমনঃ KYD 146326363726283। এরপর ১৬০০২ নাম্বারে বার্তা পাঠান। কিছু সময় অপেক্ষা করুন যদি আপনার মোবাইল বাংলাদেশ সরকারের ডাটাবেজে নিবন্ধিত থাকে তাহলে সেটি আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে আর যদি না থাকে সেটিও জানিয়ে দেওয়া হবে।
আমার মোবাইলটি আনঅফিশিয়াল এখন কি করব?
আপনার মোবাইলের সকল যাচাই-বাছাই করার পর যদি বুঝতে পারেন এটি আনঅফিসিয়াল তাহলে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আপাতত ব্যবহার করতে থাকুন পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার যদি কোন পদক্ষেপ নেয় তখন আনঅফিসিয়াল মোবাইল গুলোর নিবন্ধন করার জন্য সুযোগ দিবে, হয়তো এর জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হতে পারে।
Follow topics bangla facebook page
আরো পড়ুনঃ
ডিলিট করা ফেসবুক পোস্ট কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় আসুন জেনে নেই
বিকাশে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করুন।